খুলে আজ বলি , ওগো নব্য ,
নও তুমি পুরোপুরি সভ্য ।
জগৎটা যত লও চিনে
ভদ্র হতেছ দিনে দিনে ।
বলি তবু সত্য এ কথা —
বারো-আনা অভদ্রতা
কাপড়ে-চোপড়ে ঢাক ‘ তারে ,
ধরা তবু পড়ে বারে বারে ,
কথা যেই বার হয় মুখে
সন্দেহ যায় সেই চুকে ।
ডেস্কেতে দেখিলাম , মাতা
রেখেছেন অটোগ্রাফ-খাতা ।
আধুনিক রীতিটার ভানে
যেন সে তোমারই দাবি আনে ।
এ ঠকানো তোমার যে নয়
মনে মোর নাই সংশয় ।
সংসারে যারে বলে নাম
তার যে একটু নেই দাম
সে কথা কি কিছু ঢাকা আছে
শিশু ফিলজফারের কাছে ।
খোকা বলে , বোকা বলে কেউ —
তা নিয়ে কাঁদ না ভেউ-ভেউ ।
নাম-ভোলা খুশি নিয়ে আছ ,
নামের আদর নাহি যাচ ।
খাতাখানা মন্দ এ না গো
পাতা-ছেঁড়া কাজে যদি লাগ ।
আমার নামের অক্ষর
চোখে তব দেবে ঠোক্কর ।
ভাববে , এ বুড়োটার খেলা ,
আঁচড়-পাঁচড় কাটে মেলা ।
লজঞ্জুসের যত মূল্য
নাম মোর নহে তার তুল্য ।
তাই তো নিজেরে বলি , ধিক্ ,
তোমারই হিসাব-জ্ঞান ঠিক ।
বস্তু-অবস্তুর সেন্স্
খাঁটি তব , তার ডিফারেন্স্
পষ্ট তোমার কাছে খুবই —
তাই , হে লজঞ্জুস-লুভি ,
মতলব করি মনে মনে ,
খাতা থাক্ টেবিলের কোণে ।
বনমালী কো-অপেতে গেলে
টফি-চকোলেট যদি মেলে
কোনোমতে তবে অন্তত
মান রবে আজকের মতো ।
ছ বছর পরে নিয়ো খাতা ,
পোকায় না কাটে যদি পাতা ।
0 comments